খুলনার দিঘলিয়ার বাজার গুলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুকনো মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দিঘলিয়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকান গুলিতে পর্যাপ্ত শুকনো মরিচ রয়েছে। আগের চেয়ে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে শুকনো মরিচ। দাম কমায় ক্রেতারা হয়েছেন খুশি, মুখে ফুটেছে তাদের হাঁসি। নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পণ্যের দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন শুকনো মরিচের দাম কমায় খুশি নিম্নআয়ের মানুষজন।
উপজেলার পথের বাজারের দোকানদার মোঃ জাবের মোড়ল জানালেন,সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সরবরাহ বাড়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিঘলিয়ার বাজার গুলিতে শুকনো মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
তিনি আরো বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শুকনো মরিচ প্রকারভেদে ৪৯০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আজ তা কমে প্রকারভেদে ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।দিঘলিয়ার সর্ববৃহৎ পথের বাজারের আরেক দোকানদার খোকন মোল্লাও অনুরূপ একই মন্তব্য করেন।
পথের বাজারে কেনাকাটা করতে আসা পানিগাতী গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেশি। ফলে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কয়েক মাস যাবত বাজারে সব জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মত গরিব মানুষ প্রতিদিন যা আয় করি তা দিয়ে সংসার পরিচালনা করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে বাজার করার ক্ষেত্রে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় একটু স্বস্তির খবর হলো শুকনো মরিচের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে শুকনো মরিচের দাম ছিল ৪৯০ থেকে ৫০০ টাকা। আজ সেই মরিচ ৪৫০ টাকা দরে কিনেছি। শুকনো মরিচের মতো সব পণ্যের দাম কমলে আমরা কিছুটা হলেও আনন্দিত হতাম এবং স্বস্তি পেতাম।’
বিক্রেতারা বলছেন “চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের কারণে বেশ কিছুদিন ধরে শুকনো মরিচের দাম বেশি ছিল। বর্তমানে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। আমরা তো খুঁদে দোকানদার, মোকাম থেকে পণ্য ক্রয় করে এনে উপজেলার বাজার গুলিতে আমরা বিক্রি করি। মোকাম থেকে কম দামে ক্রয় করতে পারলে আমরাও কম দামে বিক্রি করে থাকি। আমরা পল্লী এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝি। তাই মোকাম থেকে পণ্য কম দামে ক্রয় করতে পারলে তার উপরে অতি সামান্য লাভে বিক্রি করি। আমরাও চাই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকুক।”
এদিকে সেনহাটি বাজারে বাজার করতে আসা কাটানিপাড়া গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলাম এবং সেনহাটি গ্রামের লাকি বেগম বলেন, “বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি । শুকনা মরিচের দাম কমেছে এতে আমরা খুশি। কিন্তু শুধুমাত্র শুকনো মরিচের দাম কমলেই তো হবে না, সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমার প্রয়োজন। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকারের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।”