খুলনার দিঘলিয়ার হাটবাজার গুলিতে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, তেল, ইত্যাদি নিত্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে পূর্বের চড়া দামেই। বিভিন্ন মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম কমেছে বলা হলেও দিঘলিয়া উপজেলার হাট বাজার ঘুরে দেখা যায় তার ভিন্ন রূপ। দিঘলিয়ার হাটবাজারে দুই-একটি নিত্যপণ্যের দাম কমলেও অধিকাংশ নিত্যপণ্যের চড়া দাম এখনো বিদ্যমান। উপজেলার সেনহাটি, বারাকপুর, এবং পথের বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে নিত্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিগত দিনগুলিতে সিন্ডিকেট গুলির প্রভাবে নিত্য পণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নিকট অসহনীয় হয়ে পড়েছিল। ফলে প্রতিটি নিত্য পণ্যের দাম অস্বাভাবিক পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে এবং সাধারণ মানুষ সিন্ডিকেট গুলির হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে।
উপজেলার বেশ কয়েকটি হাটবাজার ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন নিত্য পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলু ইতিপূর্বে বিক্রি হচ্ছিল ৬০ টাকায় যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। এরকম আরো দু-একটির দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামেই।
বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগী ও ডিমের দাম। কিছুদিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম। ডজনে ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে৷ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগীর দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগী শুক্রবার ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এজন্য ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।বিক্রেতাদের কাছে দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে পাইকারি বাজারের উপর দায় চাপান তারা।
মুরগীর পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ১২ থেকে ১৩ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১১ টাকা থেকে ১২ টাকায়। কাঁচামরিচের দাম ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে।
সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু পণ্যের দাম ওঠানামা করলেও আগের অবস্থাতেই দেখা গেছে সবজির দাম। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুরলতি ৫০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা পিস, কাকরোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে৷
সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলেও অস্থিতিশীল নিত্য পণ্যের দামে মানুষ দিশেহারা। ক্রেতারা নিত্যপণ্যের বাজারের এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চান বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া তারা নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারের জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।