রাজশাহী বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান ও তার দোসর শিক্ষক কর্মচারীদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ মানববন্ধন করে।আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান জালিয়াতের মাধ্যমে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়েছেন। আদালতের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি কিভাবে অধ্যক্ষ হলেন তা তাদের জানা নাই। তিনি পবা মোহনপুর আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ এর ছোট ভাই, দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে দু বছরে নিয়োগ জালিয়াতি সহ শিক্ষার নানা খাতে দুর্নীতি করে এসেছেন। এসব দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি নানাভাবে হেনস্থা করেন। ইতিপূর্বে তিনি প্রতিবাদী শিক্ষক সাফিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
তিনি অবৈধভাবে ৭৬ জন শিক্ষক অনার্স পর্যায়ে স্বাক্ষর জাল ও অনুমতি ব্যতীত নিয়োগ দিয়েছেন। যেখানে আনুমানিক লেনদেন হয়েছে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা। সম্পূর্ণ টাকা তিনি নিজেই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। তার দোষর, জামাই খ্যাত অত্র কলেজের অফিস সহকারী মোঃ উজ্জলের সহযোগিতায় চাকরি প্রার্থী যাচাই ও খোঁজ নেন এবং মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। অত্র কলেজের পাশে ওষুধ ব্যবসায়ী মোঃ আলফাজ হোসেন তার ভাতিজার চাকরি বাবদ ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেন। তার চাকরি তো দেননি বরং টাকা চাইতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দেন। অত্র কলেজের প্রতারক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রক অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান। তার আরেক দোসর রেজাউল কম্পিউটার প্রদর্শক, চাকুরী দেবার নামে ফরিদ বাবু (কাপড় ব্যবসায়ী) এবং সাইদুল (মাছ ব্যবসায়ী)কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি,
দুর্নীতিগ্রস্ত কোন অধ্যক্ষ, শিক্ষক কর্মচারী অত্র কলেজে থাকবে না। তারা দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই এবং তাদের পদত্যাগের মাধ্যমে তারা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।