1. www.rohimali2019@gmail.com : Abdur Rohim : Abdur Rohim
  2. alauddinmondol45@gmail.com : Alauddin Mondol : Alauddin Mondol
  3. dainiksonarbangla24@gmail.com : Hafiz Rahman : Hafizur Rahman
  4. msalimreza4u@gmail.com : Salim Reza : Salim Reza
  5. admin@sonarbangla24.com : sayem :
  6. allbanglanewspaperlive@gmail.com : Shipon Ahmed : Shipon Ahmed
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ২২ কোটি গ্রাহকের লেনদেন ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা - সোনার বাংলা ২৪
২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| বৃহস্পতিবার| দুপুর ১২:১৫|

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ২২ কোটি গ্রাহকের লেনদেন ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

সংবাদদাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল ফোনে সার্বক্ষণিক লেনদেনের সুবিধা রয়েছে শহর থেকে গ্রামে। কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, ঋণ নেওয়াসহ যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নানা পরিষেবা। বিদেশ থেকে আসছে রেমিট্যান্স। ফলে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) ওপর মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি বাড়ছে নির্ভরশীলতা। সে কারণে গ্রাহকের সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই অংক এযাবত কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। এর আগে একক মাসে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।

এদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সঙ্গে দিনদিন বাড়ছে গ্রাহকের সংখ্যা। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজারে। গ্রাহক বেশি হওয়ার কারণ, অনেক গ্রাহক একাধিক সিম ব্যবহার করছেন। লেনদেনের সুবিধার্থে একাধিক সিমে হিসাব খুলছেন।

এর মধ্যে মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৬ হাজার ও নারী ৯ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৩ জনে।

এখন গ্রাহক ঘরে বসেই ডিজিটাল কেওয়াইসি (গ্রাহক সম্পর্কিত তথ্য) ফরম পূরণ করে সহজেই এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে হিসাব খুলতে পারছেন। ফলে গ্রাহক ঝামেলা মুক্তভাবে হিসাব খুলতে পারছেন।

এর আগে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপর ‘নগদ’-এর অবস্থান।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এখন গাড়িচালক, নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহপরিচারিকাদের বেতনও এখন দেওয়া হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো সেবা মাধ্যম ব্যবহার করে। পোশাক খাতসহ শ্রমজীবীরা এমএফএস সেবার মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাচ্ছেন। যার ফলে দিনে দিনে নগদ টাকার লেনদেন কমে আসছে। এই প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা আর উত্তোলন হয়েছে ৩৭ হাজার ৪০৪৯২২ কোটি টাকা। এসময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় চার হাজার ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। ৫৯০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সও এসেছে মোবাইলের মাধ্যমে।’

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

বৈশাখী অফার

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

রবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১ 

অভিনন্দন বার্তা

[এই সাইটের যাবতীয় কন্টেন্ট অনুমতিবিহীন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ]

Copyright © 2024, Sonar Bangla 24