রাজশাহীঃ রাজশাহীর মোহনপুরে বোমা বিস্ফোরণ, দোকানপাট ভাংচুর, পোড়ানো ও লুটপাট মামলায় ২জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

আটককৃত আসামিরা হলেন, বাকশিমইল ইউপি’র বাকশিমইল গ্রামের বাবলু মেকারের ছেলে ছিসকে মাস্তান মোঃ রিপন আলী (৩০)। অপরজন কেশরহাট পৌরসভার নওগাঁ গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে সিদ্দিকুর রহমান বাবু (৫০)।

২১ আগস্ট বুধবার গোপন সংবাদদের ভিত্তিতে বেলা দুপুরের পর মোহনপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম-২, এসআই শফিকুল, জাহাঙ্গীর আলম-১ সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স উপজেলা সদর বাকশিমইল হতে রিপন ও কেশরহাট হতে সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করেন।

মাসুম আইসিটি সেন্টার ভাংচুর, লুটপাট ঘটনায় তার চাচা উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে মোহনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে, গত ৪ আগষ্ট রবিবার রাত ৮ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ১ দফা আন্দোলনকে প্রতিহতের করা উদ্দেশ্যে মোহনপুর উপজেলা গেট সংলগ্ন রাজশাহী- নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে মাসুম আইসিটি সেন্টার দোকানের সামনে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে
পবা-মোহনপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন (৪৭)ও সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ(৫৫) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সালাম (৬৭), আফজাল হোসেন বকুল (৪৭), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মোহনপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ
(৬০), কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ (৫২), বাকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান (৫৫), ধুরইল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৫)সহ ৩৬জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১১০ জন
বিভিন্ন ধরণের ধারালো অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে মহড়া দেয় এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় মাসুম আইসিটি সেন্টারের দরজা ভেঙ্গে ফটোকপি মেশিন,
কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টারসহ যাবতীয় জিনিসপত্র ভাংচুর করে রাস্তায় নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে দোকানী মোঃ মোনায়েম আলী (মাসুম) এর অনুমান দশ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এছাড়াও দোকানের ড্রয়ারে থাকা নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরি করিয়া নিয়ে গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানাগেছে, গত ৪ ও ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপি, জামায়াতের নেতাকর্মীদের প্রায় ১’শ ৫টি দোকানপাট ভাংচুর, পোড়ানো ও লুটপাট করা হয়েছে।

এবিষয়ে মোহনপুর থানা কর্মকর্তা (ওসি)
হরিদাস মন্ডল বলেন, বোমা বিস্ফোরণ, ভাংচুর, পোড়ানো ও লুটপাট ঘটনার মামলায় দুইজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের আটক করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।