রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের তোকিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূত ভাবে চতুর্থ শ্রেণীর নিয়োগ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় উপজেলার তোকিপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী রাহেমা বিবিকে ২০০৪ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর তারিখের নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশে এবং ২০০৪সালের ৯ নভেম্বর তারিখের কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে তোকিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে “এম.এল.এস.এস.” পদে একই সালের ২০ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক সাক্ষরিত একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয় এবং ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে অদ্যবধি বিনা বেতনে চাকুরী করে আসছেন। তোকিপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় চাকুরীর জন্য ৯ শতক জমি ও ৩লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন রাহেমা বিবির স্বামী সাইদুর রহমান।বর্তমানে প্রায় বিশ বছর পর এসে আবারো আমাকে সহ আরো ৩টি পদের নিয়োগ বাতিল করে ১৮লক্ষ টাকার বিনিময়ে সভাপতি আজিজুর রহমানের ছেলে আবজালের স্ত্রী আশা কে সহ আরো কয়েকজনকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন। চাকরি না পেয়ে টাকা ও জমি ফেরত চাওয়ায় প্রধান শিক্ষক নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দানের দাবি তিনি রাহেমাকে চাকরিচুৎ করলেও তার ছেলে সোহেল রানাকে বিদ্যালয়ের কোন একটা পোষ্টে চাকরি দিবেন বলে জানান।
তবে এ ব্যাপারে সভাপতি সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন।
রাহেমা গত ১৩মার্চ রাজশাহী জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান,বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে তার নিয়োগপত্র,যোগদানপত্র,যাবতীয় কাগজপত্রসহ লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে রাহেমা বলেন, প্রতিষ্ঠান গড়তে গিয়ে আমার স্বামী ঐ প্রতিষ্ঠানে ৯শতক জমি দিয়েছিলেন আমার চাকুরীর বিনিময়ে, পরে আমার বেতন করে দিবে বলে প্রধান শিক্ষক আবারো ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।তারপর আমার পোষ্টে অধিক টাকার বিনিময়ে আরেকজনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এখন ওই টাকা ও জমি ফেরত চাওয়ায় প্রধান শিক্ষক ও তার লোকজন নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
তোকিপুর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে আঃ হালিম মীর বলেন প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন আমাকে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগের জন্য আমার কাছ থেকে ১৫লক্ষ টাকা নিয়েছে।দীর্ঘ দিন পার হলেও আজ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে নিয়োগ/যোগদান না দিয়ে নানা ভাবে টালবাহানা করছেন। প্রধান শিক্ষক আমাকে চাকরি ও দিচ্ছেন না টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।