1. www.rohimali2019@gmail.com : Abdur Rohim : Abdur Rohim
  2. alauddinmondol45@gmail.com : Alauddin Mondol : Alauddin Mondol
  3. dainiksonarbangla24@gmail.com : Hafiz Rahman : Hafizur Rahman
  4. msalimreza4u@gmail.com : Salim Reza : Salim Reza
  5. admin@sonarbangla24.com : sayem :
  6. allbanglanewspaperlive@gmail.com : Shipon Ahmed : Shipon Ahmed
'চট্রগ্রামে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট' - সোনার বাংলা ২৪
৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শনিবার| সকাল ১০:৩৩|
সর্বশেষ সংবাদ :
ফের বাড়ছে বিএনপির কারাবন্দি নেতাকর্মী এসিতে সব সময় থাকলে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে বেলকুচিতে থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় শোকজ বেলকুচিতে আমিনুল ইসলামের নির্বাচনী জনসভায় যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহ্বান  প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মারুফুল ইসলামের জনসংযোগ অব‍্যাহত ইলিশের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা শনিবার থেকে ট্রেনের নতুন ভাড়া, কোন রুটে কত সিসিটিভি অনেক সময় কাজ করে না: নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা রাজশাহীতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে গ্লুকোজ বিতরণ মোহনপুরে মদ্যপান অবস্থায় ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৩

‘চট্রগ্রামে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট’

সংবাদদাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরীতে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ খাচ্ছে লবণ পানি। কারণ কাপ্তাই হ্রদ থেকে পানি ছাড়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। সেই পানি গিয়ে মেশে কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ফলে সাগরের পানি উজানের দিকে যেতে না পারায় লবণাক্ততা থেকে রক্ষা পায় দুই নদীর পানি। আর এই পানি পরিশোধন করে নগরবাসীর মধ্যে সরবরাহ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

কিন্তু কাপ্তাই হ্রদে কমে গেছে পানির পরিমাণ। ফলে সেভাবে ছাড়া হচ্ছে না পানি। নেই তেমন বৃষ্টিপাতও। এতে সাগরের পানি উজানে উঠে আসায় লবণাক্ত হয়ে পড়েছে নদীর পানি। যার ফলে ওয়াসা যে পানি সরবরাহ করছে সে পানিতে লবণাক্ততা থেকেই যাচ্ছে’।

এমনিতেই সংকটের কারণে কয়েক মাস ধরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে পারছে না চট্টগ্রাম ওয়াসা। এর মধ্যে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে লবণাক্ত পানি। যেসব পানি ব্যবহার করতে না পেরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী।

অতিরিক্ত লবণ পানি পানের ফলে মানুষের শরীরে দেখা গেছে উচ্চ রক্তচাপসহ নানা সমস্যা। এছাড়া যাদের কিডনি রোগের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এছাড়া লবণ পানি পানের ফলে দ্রুত কিডনি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে কমতে থাকে কাপ্তাই হ্রদের পানি। মার্চে তা আরো কমে যায়। রুলকার্ভ অনুযায়ী, এ সময় কাপ্তাই হ্রদে ৮৫ মিটার এমএসএল (মিন সি লেভেল’) পানি থাকার কথা থাকলেও সেটি কমে চলে এসেছে ৭৭ মিটার এমএসএল-এ।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানায়, পর্যাপ্ত পানির অভাবে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটিই বর্তমানে বন্ধ। ২৩০ মেগাওয়াটের পাঁচটি ইউনিটের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউনিট চালু থাকলেও তা থেকে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কেবল বৃষ্টি হলেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন তারা।

কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, পানির লেভেল ৬৮ এমএসএল-এ নেমে গেলে পানি ছাড়া এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পানি যেভাবে কমে যাচ্ছে, তাতে বাকি এক ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটি হলে নদীতে লবণাক্ততার মাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে।

ওয়াসা সূত্র জানায়, জোয়ারের সময় সাগরের পানি ঢুকে পড়ার ফলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয় ওয়াসার পানি উৎপাদন। এতে করে উৎপাদন কমে যায়। বিভিন্ন শোধনাগার ও গভীর নলকূপ থেকে ওয়াসার পানির উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৫০ কোটি লিটার। কিন্তু বর্তমানে ৪০ কোটি লিটারের বেশি পানি উৎপাদন করা যাচ্ছে না । ফলে নগরের অনেক এলাকায় লেগে আছে পানির সংকট। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সেসব এলাকার মানুষ। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন এলাকায় রেশনিং করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত পানি ছাড়া হচ্ছে না। ফলে সাগরের পানি উঠে আসছে উজানে। তবে বৃষ্টিপাত হলে এবং হ্রদে পানি বাড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

লবণাক্ত পানির ব্যাপারে কর্মকর্তারা বলছেন, রিভার্স অসমোসিস প্রক্রিয়ায় পানি লবণমুক্ত করা যায়। যা খুব ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। প্রতি লিটার পানি রিভার্স অসমোসিস করতে খরচ পড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। সেদিকে না গিয়ে গভীর নলকূপ থেকে পাওয়া পানি কর্ণফুলীর পানির সঙ্গে ‘ব্লেন্ড’ করে লবণের মাত্রা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রেখে সরবরাহ করা হচ্ছে’।

এদিকে, ওয়াসার কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার কারণে নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে পারছে না ওয়াসা। যে পানি সরবরাহ করছে, তাও লবণাক্ত। প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে পানির সংকট থাকার কথা নয়।

অতিরিক্ত লবণ পানি পান প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত লবণ পানি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টির পাশাপাশি কিডনি নষ্ট করে দেয়। যেসব মানুষের কিডনি রোগের উপসর্গ রয়েছে, তারা যদি এ ধরনের পানি পান করেন, তাদের দ্রুত কিডনি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুধু তাই নয়, ডাঃ শামসুল ইসলাম খাঁন বলেন, লবণাক্ত পানি অব্যাহত ভাবে পান করলে রক্তনালি অকেজো হয়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লবণাক্ত পানি সাংঘাতিক ক্ষতিকর।’

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

বৈশাখী অফার

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

রবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১ 

অভিনন্দন বার্তা

[এই সাইটের যাবতীয় কন্টেন্ট অনুমতিবিহীন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ]

Copyright © 2024, Sonar Bangla 24