1. www.rohimali2019@gmail.com : Abdur Rohim : Abdur Rohim
  2. alauddinmondol45@gmail.com : Alauddin Mondol : Alauddin Mondol
  3. dainiksonarbangla24@gmail.com : Hafiz Rahman : Hafizur Rahman
  4. msalimreza4u@gmail.com : Salim Reza : Salim Reza
  5. admin@sonarbangla24.com : sayem :
  6. allbanglanewspaperlive@gmail.com : Shipon Ahmed : Shipon Ahmed
নব্বইয়ের ছাত্রনেতারা কেন রাজনীতিতে কোণঠাসা' - সোনার বাংলা ২৪
২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| বৃহস্পতিবার| সকাল ১১:২৮|

নব্বইয়ের ছাত্রনেতারা কেন রাজনীতিতে কোণঠাসা’

সংবাদদাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র রাজনীতির শেষ বসন্তকাল হল নব্বইয়ের দশকে। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে শেষ জাগরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা জাতীয় রাজনীতিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তারাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবেন এমনটাই আশাবাদ করা হয়েছিল। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিজয়ের একটি বড় ভূমিকা ছিল ছাত্র আন্দোলনে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। আর এই কারণেই তারা জাতীয়ভাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। উজ্জ্বল তারকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের এই ছাত্রনেতারা রাজনীতিতে এখন কোণঠাসা অবস্থায় আছেন। অনেকে রাজনীতিতে টিকে থাকলেও তাদের মেধা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী অবস্থানে নেই।

নব্বইয়ের দশকে যে ছাত্রনেতারা উজ্জ্বল ছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন,

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ: সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ পঁচাত্তর পরবর্তী ডাকসুতে প্রথম ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সহ সভাপতি। স্বৈরাচার এরশাদের আমলে অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রথম ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ থেকে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি সে সময় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবেও ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাকে তোফায়েল আহমেদের মতো বড় তারকা হিসেবেই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এখন রাজনীতিতে কক্ষচ্যুত। তিনি কোথাও নেই। এক-এগারোর সময় সংস্কারপন্থী হওয়ার পর থেকে তিনি রাজনীতিতে দিক নির্দেশনাহীন। ২০১৮ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হলেও তেমন আলো ফেলতে পারেননি। এবার তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাকে গ্রহণ করেনি। রাজনীতিতে তার ভবিষ্যৎ এক অনিশ্চিয়তার কালো মেঘে ঢাকা।

হাবিবুর রহমান হাবিব: হাবিবুর রহমান হাবিব নব্বইয়ের এরশাদ পতনের সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সেসময় তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। রাজনীতিতে তার আদর্শচ্যুতির এই ইউটার্ন একটি বড় বিস্ময়কর ঘটনা। কিন্তু বিএনপিতে যেয়েও তিনি সুবিধা করতে পারেননি। হাবিব ছাত্রনেতা হিসেবে নব্বইয়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেও এখন তিনি কোনঠাসা এবং বিএনপিতে একজন করুণার পাত্র হিসাবে বেঁচে আছেন। বিএনপির নেতারাও তাকে খুব একটা বিশ্বাস করে না। খুব একটা পাত্তাও দেয় না।

আমানউল্লাহ আমান: আমানউল্লাহ আমান ডাকসুর ভিপি ছিলেন এবং তার নেতৃত্বেই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজ গর্জে উঠেছিল। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি ছিলেন ডাকসুর ভিপি। কিন্তু আমানউল্লাহ আমান বিএনপির রাজনীতিতে বড় তারকা হয়ে উঠতে পারেননি। তিনি এখনও বিএনপির প্রভাবশালী বা গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে স্বীকৃত নন। তাকে নিয়ে বিএনপির মধ্যে অনেকে সন্দেহ ও অবিশ্বাস রয়েছে।

শামসুজ্জামান দুদু: শামসুজ্জামান দুদু নব্বইয়ের দশকে একজন গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা ছিল। বিশেষ করে নীরু-বাবলু ছাত্রদল ত্যাগ করার পর শামসুজ্জামান দুদু সভাপতি হিসেবে ছাত্রদলকে পুনরায় সংগঠিত করেছিলেন। কিন্তু দুদুর রাজনৈতিক জীবন যেন গতি পায়নি। তিনি এখনও বিএনপিতে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নন। যদিও তার কোনো বিচ্যুতি নেই। তারপর তিনি বিএনপির রাজনীতিতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।

আসাদুজ্জামান রিপন: আসাদুজ্জামান রিপনও নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা। ছাত্রদলকে নতুনভাবে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে যারা ভূমিকা রেখেছিল তাদের মধ্যে রিপন অন্যতম ছিলেন। কিন্তু বিএনপি রাজনীতিতে তিনিও কোণঠাসা, বিবর্ণ।

মুশতাক হোসেন: মুশতাক হোসেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে সুলতান-মুশতাক প্যানেল থেকে ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পেশাগত জীবনে তিনি দক্ষতা অর্জন করেছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের একজন গবেষক হিসেবে তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন। যে কারণে ছাত্র রাজনীতির বা মূলধারার রাজনীতিতে তিনি অনুপস্থিত।

মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল: মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি রাজনীতিতে আদর্শ বিচ্যুতির এক বড় নজির স্থাপন করেন। তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির রাজনীতিতে তিনি একজন সাইড লাইটার হিসেবে পরিচিত। বিএনপির রাজনীতিতে তাকে খুব একটা কেউ গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না।

নব্বইয়ের ছাত্রনেতাদের এ রকম আরও অনেকে আছেন যারা সে সময় বড় তারকা ছিলেন কিন্তু এখন যে সমস্ত রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন সে সমস্ত রাজনৈতিক দলে তাদের উল্লেখ করার মতো নয়। নব্বইয়ের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম তারকা শফি আহমেদ, নুরুল ফজল বুলবুল সহ আরও অনেকে আছেন যারা এখন জাতীয় রাজনীতিতে হারিয়ে যাওয়া নাম।’

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

বৈশাখী অফার

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

রবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১ 

অভিনন্দন বার্তা

[এই সাইটের যাবতীয় কন্টেন্ট অনুমতিবিহীন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ]

Copyright © 2024, Sonar Bangla 24