1. www.rohimali2019@gmail.com : Abdur Rohim : Abdur Rohim
  2. alauddinmondol45@gmail.com : Alauddin Mondol : Alauddin Mondol
  3. dainiksonarbangla24@gmail.com : Hafiz Rahman : Hafizur Rahman
  4. msalimreza4u@gmail.com : Salim Reza : Salim Reza
  5. admin@sonarbangla24.com : sayem :
  6. allbanglanewspaperlive@gmail.com : Shipon Ahmed : Shipon Ahmed
সুদের কারবারি ও প্রতারণার অভিযোগে মাস্টার রহমত উল্লাহ কারাগারে  - সোনার বাংলা ২৪
২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শনিবার| সকাল ৯:২৫|
সর্বশেষ সংবাদ :
প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ ধসে নিহত ১, আহত ৮ বাবুল হত্যাকাণ্ড: পক্ষ বিপক্ষে নানা অভিযোগ রাজশাহী জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের সৌর বিদ্যুৎ পার্ক নাচোলে আম বাগান পরিদর্শন করলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা রাজশাহীতে দু পক্ষের সংঘর্ষে আহত আ.লীগ নেতার মৃত‍্যু যুবলীগের সাবেক সভাপতি’র নেতৃত্বে কামারুজ্জামান হেনার ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে খাবার বিতরণ ট্রায়ালের নামে মোটরসাইকেল নিয়ে  উধাও ক্রেতা, দিশাহারা বিক্রেতা  কারা’গার থেকে পালি’য়েও রক্ষা হলো না ৪ ফাঁ’সির আসা’মির চিলির বিপক্ষে স্বপ্নভঙ্গের সেই মাঠেই আর্জেন্টিনার প্রতিশোধ

সুদের কারবারি ও প্রতারণার অভিযোগে মাস্টার রহমত উল্লাহ কারাগারে 

শিব্বির আহমদ রানা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪

শিক্ষকতার আড়ালে সুদি ব্যবসা, প্রতারনা ও নানাভাবে লোকজনকে হয়রানি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে বাঁশখালীর চাম্বলে রহমত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি সুদি রহমত উল্লাহ্ নামেও এলাকায় সমধিক পরিচিত। এনিয়ে ভুক্তভোগীদের মামলা ও অভিযোগের পর আদালতের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর আদালত প্রতারক মাস্টার রহমত উল্লাহকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। রহমত উল্লাহ চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত আছদ উল্লাহর পুত্র। এই ঘটনায় বাঁশখালীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, বাঁশখালীর নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রহমত উল্লাহ দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় প্রতারণা ও লোকজনকে মামলা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি ও টাকা আদায় করে আসছিলেন। শিক্ষকতার আড়ালে এভাবেই লাখ লাখ টাকার মালিক বনে যান মাস্টার রহমত। এনিয়ে দীর্ঘদিন পর মাস্টার রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে অলিখিত ব্যাংক চেক ও অলিখিত স্টাম্প নিয়ে তাতে মিথ্যা টাকার মোটা অংক বসিয়ে নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা ও টাকা আদায়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আদালত তা তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেন। সিআইডি তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত বিগত ২৬ মে তারিখে রহমত উল্লাহকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে প্রতারক শিক্ষক রহমত উল্লাহ জেল হাজতে থাকলেও তার হাতে নির্যাতন ও প্রতারণার শিকার লোকজন প্রতিনিয়ত তার বিচারের দাবীতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, চাম্বল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার পুত্র রেজাউল করিম চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া লিখিত অভিযোগে জানান, মাস্টার রহমত উল্লাহ বাঁশখালী উপজেলার নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও মদ্যপায়ী লোক হয়। এই পেশার আড়ালে তিনি এলাকায় সুদের ব্যবসাও করেন। উল্লেখ্য, প্রতিপক্ষ এলাকায় রমরমা সুদের ব্যবসা করে লোকজনের নিকট থেকে কৌশলে বিভিন্ন অলিখিত চেক, অলিখিত স্ট্যাম্প, গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও দলিল হাতিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে নিরীহ লোকজনকে জীম্মি করে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ আদায় করেন। ভুক্তভোগী রেজাউল করিম অভিযোগ করে বলেন, বিগত ২০২৩ সালে আমি প্রতিপক্ষের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলাম। যার বিপরীতে প্রতিপক্ষকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে সুদ প্রদান করতাম। সুদ ও আসল সহ আমি প্রতিপক্ষকে যা টাকা পরিশোধ করার পরেও সে আমার নিকট থেকে কৌশলে হাতিয়ে নেয়া একটি অলিখিত চেকে টাকার মোটা অংক বসিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমার টাকা দাবী করে। যার প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ অতিরিক্ত টাকা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে ৪৫ লক্ষ টাকার একটি চেকের মামলা দায়ের করে। পাশাপাশি সে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে অলিখিত চেক নিয়ে আরো প্রায় ১ কোটি মতো চেকের মামলা দায়ের করে। উক্ত বিষয়ে আমি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাঁশখালীতে ১০/০১/২০২৪ইং তারিখ সি.আর- ২৭/২০২৪ইং, ধারা: ৪০৬/৪১৮/৪২০/৫০৬(২) দঃ বিঃ দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মতে সিআইডি চট্টগ্রাম মামলার বিস্তারিত তদন্ত করে ঘটনার সত্যত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত উল্লেখ্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ান করে।

উল্লেখ্য প্রতিপক্ষ বিগত ২৬ মে তারিখে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বর্তমানেও সে জেল হাজতে রয়েছে। প্রতিপক্ষ একজন শিক্ষক হওয়ার পরও তার কোন অন্য উপার্জনের মাধ্যম না থাকা সত্ত্বেও সে বিভিন্ন লোকজনের নিকট অবৈধভাবে টাকা দাবী করায় এলাকার লোকজন তার অত্যাচারে অতিষ্ট। সে একজন স্কুল শিক্ষক হলেও এলাকার একজন নামধারী প্রতারক ও সুদি মাস্টার নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগসহ এলাকার গন্যমান্য লোকদের সালিশ বিচার দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। তাছাড়া এই প্রতারকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও সে এতদিন ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।

চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী জানান, রহমত উল্লাহ একজন প্রতারক ও সুদি ব্যবসায়ী। তার বিষয়ে আইন আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বর্তমানে সে কারাগারে আছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার জানান, হাজতবাসকারী শিক্ষক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে লোকজন অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তে সতত্যা পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

অভিনন্দন বার্তা

[এই সাইটের যাবতীয় কন্টেন্ট অনুমতিবিহীন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ]

Copyright © 2024, Sonar Bangla 24