মধ্যপ্রাচ্য সহ সারাবিশ্বের সাথে মিল রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ছিয়াত্তরবিঘী গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় ছিয়াত্তরবিঘী ঈদগাহ ময়দানে নারী ও শিশু সহ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ভাগাভাগি করে নেন ঈদ আনন্দ। এ ঈদ উদযাপনে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন স্থানের শতাধিক মানুষ।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানান, হাদিসে এসেছে ‘নতুন চাঁদ দেখে রোজা রাখো ও ঈদ করো’; সারা পৃথিবীতে ঈদ হচ্ছে সে হিসেবে আমরাও পালন করছি। প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা ঈদ পালন করছি। ৫৭টি মুসলিম দেশের মধ্যে ৫৬টিই আজ বুধবার ঈদ উদযাপন করছে। এভাবে আমাদের দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
এদিকে চাঁদপুর, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল সহ প্রায় সকল জেলায় মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) নির্ধারিত হলেও দেশের প্রায় সকল জেলায় বুধবার উদযাপিত হয়েছে ঈদুল ফিতরের জামাত। বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ ঈদ জামাতে অংশ নেন।
লেখক ও ইসলামী গবেষক সাংবাদিক মাসুদ রানা বলেন, আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী। সারা বিশ্বের মুসলিমদের চাঁদের এক উদয়স্থল মেনে নিয়ে একইদিনে ঈদ আদায় করতে হবে। আমাদের মাযহাবেই এমন ফতোয়া রয়েছে। পৃথিবীর সকল স্থানে আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের চাঁদ দেখা কমিটি এব্যাপারে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে বরাবরের মতো। তিনি আরও বলেন, আগে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ছিল না। এজন্য মানুষ খবর পেত দেরিতে। যার কারণে ঈদ করতে হতো একদিন পরে। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। এতে আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। এব্যাপারে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।