ধৈর্য,সংযম এবং আত্মশুদ্ধির মাস হলো মাহে রমজান। এ মাসে সারা বিশ্বের সকল মুসলমানেরা রোজা রাখে। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হলো রোজা। এটি একটি ফরজ ইবাদত। তাই মমিন মুসলিম এর কাছে এটি সবচেয়ে বেশি প্রিয় মাস। রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের বার্তা নিয়ে আসে পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসের অর্জিত জ্ঞান অন্য সকল মাসে প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের জীবন সুন্দর এবং আলোকিত হয়ে ওঠে।
রমজান আসলে সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে রোজা রাখতে। আর রোজা রাখতে সূর্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা রোজা রাখা হয় সূর্যকে কেন্দ্র করে। নিয়ম অনুসারে রমজান মাসে সূর্য উদয়ের আগে একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখা হয়। সূর্যাস্তের পর পুরাপুরি অন্ধকার নেমে আসার আগে সূর্য যখন দিগন্ত রেখার নিচে চলে যায় তখন ইফতার করার সময় হয়। ইফতার হলো সূর্যাস্তের সময় রোজা ভাঙ্গার খাবার যা মুসলমানদের দ্বারা পালিত একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় আচার। ইফতারের সময় সাধারণত মুসলমানরা পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ইফতারি খাবার ভাগ করে নিতে জড়ো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খেজুর এবং পানি দিয়ে শুরু হয় ইফতার। এছাড়াও ইফতারে ফলের প্রাধান্য থাকে অনেক বেশি।
জান্নাতের পথ সুগম করার মাস এই মাহে রমজান। এ মাসে রোজা রাখা এবং ইফতার করা যেমন ফজিলতের তেমনি ইফতার করানোও ফজিলতের।
সেদিকে লক্ষ্য রেখে ৮এপ্রিল সোমবার বিকাল ৫ টায় অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সংস্থা (অসকস) কর্তৃক খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি মদিনা মসজিদের সন্নিকটে দিঘলিয়া শাখার সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার এস এম জহুরুল হক এর নিজস্ব বাসভবনে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সংস্থা দিঘলিয়া শাখার প্রধান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার সরদার শহীদুল্লাহ।
সংস্থার সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার এস এম জহুরুল হকের সভাপতিত্বে এবং সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোঃ ফিরোজ আলী শেখের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল মোঃ ইদ্রিস আলী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ বাবর আলী, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জাকির হোসেনসহ সম্পাদক মন্ডলীর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং সংস্থার সকল পর্যায়ের সদস্যগণ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরহাদ হোসেন, সেনহাটি বালিকা বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, স্থানীয় কতিপয় ব্যবসায়ী বৃন্দ এবং আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে দিকনির্দেশনা মূলক ও জ্ঞানগর্ব বক্তৃতা করেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বাস্তব ভিত্তিক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন উক্ত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলী শেখ।
আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া এবং ইফতার মাহফিল। ইফতারের পূর্বে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ শেখ তাফহীম আল তাহ্সিন। ইফতার অনুষ্ঠানের দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হাফেজ অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল মোঃ ইদ্রিস আলী।