তিন বছর লালন পালন করে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ১৮ মন ওজনের বিশাল আকৃতির দেশী জাতের একটি গরু। গরুর মালিক শখ করে তার গরুর নাম রেখেছেন কালাপাহাড়।
দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতি গ্রামের আশরাফ আলী খানের ছেলে আবুল বাশার এর বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলে কালাপাহাড় নামের এই গরুটি। টিনের ছাউনি ঘরের একপাশে ছিল বিশাল আকৃতির এই কালা পাহাড়। তার পাশেই ছিল তার আরো দুই সঙ্গী বিশালাকৃতির দুইটি গরু। এ ছাড়াও খামারী আবুল বাশারের খামারে আরো বেশ কয়েকটি গরু আছে। ক্রেতারা ইচ্ছে করলে সরাসরি এই খামার থেকে গরু ক্রয় করতে পারবেন।
খামারি আবুল বাশারের আশা এবার কুরবানীর পশুর হাট কাঁপাবে তার এই কালাপাহাড় নামের বিশাল আকৃতির গরুটি। ইতিমধ্যে ক্রেতারা গরুটি ক্রয়ের জন্য খামারীর বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করেছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসছেন গরু ক্রয়ের জন্য। ভালো দাম পেলে কালা পাহাড়কে তুলে দেওয়া হবে তাদের হাতে বলে জানান আবুল বাশার।
কালাপাহাড় সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে খামারী আবুল বাশার জানান, গরুটির আনুমানিক ওজন হবে ১৮ মন, দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ২ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। টিনের ঘরে প্রচন্ড গরম ও তাপ থাকায় গরুটিকে দিনে তিন থেকে চারবার গোসল করাতে হয়। কালা পাহাড়ের মাথার উপর সবসময় ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবারের সকলে এবং মালিক নিজেও তার এই বিশালাকৃতি গরুর যত্ন নেন। তিনি আরো বলেন আমরা কালাপাহাড়কে পরিবারের অন্য সদস্যের মতোই বড় করেছি। দেশীয় জাতের এই গরুটিকে প্রতিদিন খড়, কুটা, কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি, খৈল, কুড়া ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। গরুটিকে মোটা তাজা করতে কোনো প্রকার ইনজেকশন প্রয়োগ করা বা টেবলেট খাওয়ানো হয় নাই। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতা আসছেন, গরু দেখছেন এবং দাম কষাকষিও চলছে। চাহিদা অনুযায়ী দাম পেলে গরু বিক্রি করা হবে বলে জানান আবুল বাশার। খামারী কালা পাহাড়ের দাম ৬ লাখ টাকা চাচ্ছেন তবে দামাদামি করে গরুটি ক্রয়ের সুযোগ থাকবে।