-বাংলা নববর্ষ বাঙালির জীবনে এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। গতানুগতিক জীবন ধারার মধ্যে নববর্ষ নিয়ে আসে নতুন আনন্দ,নতুন সুর, নতুন উদ্দীপনা। বিগত বছরের সব দুঃখ-বেদনাকে একরাশ হাসি, আনন্দ আর নাচ-গান দিয়ে ভুলিয়ে দিয়ে যায় নববর্ষের প্রথম দিন, পহেলা বৈশাখ।
প্রাচীনকাল থেকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ- গোত্র নির্বিশেষে এটি বাঙালির আনন্দময় উৎসব হিসেবে সুপরিচিত। বাংলা নববর্ষ তাই বাঙালির জাতীয় উৎসব।বিগত দিনের সমস্ত গ্লানি মুছে দিয়ে, পাওয়া না পাওয়ার সব হিসেব চুকিয়ে প্রতি বছর আসে পহেলা বৈশাখ,বাংলা নববর্ষ। মহাধুমধামে শুরু হয় বর্ষবরণ।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৪ই এপ্রিল সকাল ৯ ঘটিকায় দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিম্লানে শুচি হোক ধরা’ এই স্লোগানে ঢাকঢোলের তালে তালে বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী বৈশাখী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। উৎসবে মাতে শিশু-কিশোর-কিশরী, যুবক যুবতীসহ সব বয়সের মানুষ এবং বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষ।
বাংলা নববর্ষ উৎসবের বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে ছিল নাচ- গান, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং লোকজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। উৎসবের এ সকল আয়োজনে আবহমান গ্রাম-বাংলার সাংস্কৃতিক কর্ম কাণ্ডের একটি পরিচিতি ফুটে ওঠে। যা বাঙালি চেতনাকে উজ্জীবিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
অনুষ্ঠানের সর্বশেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী। এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জ্ঞানগর্ব বক্তব্য পেশ করেন।