শত শত ট্রেনযাত্রীর ভিড় থাকলেও টিকিট মাস্টার না থাকায় এবং ট্রেনের কোচ কম থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রেনযাত্রীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর রেলস্টেশনে সরজমিনে গিয়ে মঙ্গলবার (৯ই এপ্রিল) এমনই দৃশ্য দেখা গেছে।
এবিষয়ে উপস্থিত স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যে, প্রায় ৫বছর পূর্বে সকল ধরনের ট্রেন দাঁড়ানোর দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান অনেক পরিশ্রম করে ট্রেন দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে করোনাকালীন সময় লোকাল দুইটি ট্রেনের মধ্যে আবার একটি বন্ধ হয়ে যায়। পূণরায় এখন আবার সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের প্রচেষ্টায় লোকাল ট্রেন দুইটি চলাচল করছে। প্রতিদিন রহনপুর-রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর ৪বার ট্রেন আসা-যাওয়া করে।
তবে প্রায় এক বছর যাবৎ কোন টিকিট মাষ্টার ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে নেজামপুর রেলস্টেশনটি। এতে করে হাজার হাজার টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে স্টেশন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন টিকিট মাষ্টার না থাকায়, আমরা বেআইনি ভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেক হয়রানির শিকার এবং অপমান হয়ে থাকি। নিজের কাছে টিকিট না থাকায়, ট্রেনে থাকা চেকাররা ধমক দিয়ে কথা বলেন, আবার বেশি ভাড়া আদায় করে থাকেন। বিনিময়ে টিকিট বা কোন কিছু ডকুমেন্টও দেওয়া হয় না আমাদের। তো সেই টাকাগুলি জাচ্ছে কোথায়।
অন্যদিকে আবার অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেছেন যে, ট্রেনগুলিতে কোঁচ কম থাকায়, ভিড় বেশির কারণে ট্রেনে উঠতে না পেরে ফেরত যেতে হচ্ছে আমাদের। কারণ ট্রেনের কোঁচ মাত্র আড়াইটি। এবং যাত্রীর পরিমাণ অনেক বেশি।
ট্রেনযাত্রীরা বলেন, টিকিট মাষ্টার নিয়োগ, ট্রেনের কোঁচ বাড়ানো এবং সকল ধরনের ট্রেন দাঁড়ানোর জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
এবিষয়ে পাকশি রেলওয়ের বাণিজ্যিক অফিস সহকারী কর্মকর্তা নুর আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের লোকবল সংকটের কারণে নেজামপুর রেলস্টেশনে টিকিট মাষ্টার পদটি শূন্য রয়েছে।
এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি দেশের বাইরে থাকার কারণে কথা বলা সম্ভব হয়নি।