আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় পাঁচজন প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছিলেন এবং জমাও দিয়েছিলেন। তাদের সকলেরই মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে যে পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হয় তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মল্লিক মহিউদ্দিন, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোল্লা আকরাম হোসেন, দিঘলিয়া উপজেলার একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল স্টার জুট মিলস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক গাজী এনামুল হাচান মাসুম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজ সেবক মোঃ জাকির হোসেন।
এ অবস্থার মধ্যে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার সমগ্র এলাকা। কিন্তু গত ২৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোল্লা আকরাম হোসেন। এরপর তিনি ৩০ এপ্রিল তার প্রার্থিতা প্রতাহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করেন।
মোল্লা আকরাম হোসেন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় গতকাল ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন থেকে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাচনের চারজন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। এই চার প্রার্থীর মধ্যে শেখ মারুফুল ইসলাম পেয়েছেন আনারস, মোঃ মল্লিক মহিউদ্দিন পেয়েছেন দোয়াত কলম, গাজী এনামুল হাচান মাসুম পেয়েছেন হেলিকপ্টার এবং মোঃ জাকির হোসেন পেয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক।
চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মারুফুল ইসলাম অব্যাহতভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি গতকাল ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গাজিরহাটে জনসংযোগ করেন । উক্ত জনসভায় উপস্থিত ভোটাররা হাত তুলে শেখ মারুফুল ইসলামকে ভোট প্রদানের সমর্থন জানান।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন-১ নং গাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঠান্ডা মোল্লা, যুবলীগের আহ্বায়ক হামিম মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি বিষ্ণুপদ, যুবলীগ নেতা বুলু শেখ, যুবলীগ নেতা রুবেল হোসেন ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।