লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ধর্মপ্রান মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতরের সাথে কয়েকটি ছুটি যুক্ত হয়ে এবার ঈদে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে ত্রি-দেশীয় বাণিজ্য কেন্দ্র।
সোমবার(১ এপ্রিল) বন্দরের বোর্ডে ছুটির নোটিশ জারি করেছে কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান ছায়েদ জানান, শব ই কদর, ঈদ উল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ছুটির বিষয়ে জরুরী বৈঠক করেন ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ও বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, আমদানি- রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ও ভুটান এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন।
সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী শনিবার(৬ এপ্রিল) হতে পরবর্তি সপ্তাহের রোববার(১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) ঈদ পুর্ববর্তি শেষ কার্যদিবস ধার্য করে ছুটির নোটিশ উভয় দেশের কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ফলে শুক্রবার(৫ এপ্রিল) থেকে রোববার(১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা ১০ দিন বুড়িমারী স্থলবন্দরের সকল ধারনের পন্য আমদানি রফতানি বন্ধ থাকবে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) যথারীতি বন্দরের সকল ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়।
বন্দরের আমদানি রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়ত স্বাভাবিক থাকবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক(এসআই) আহসান কবির পলাশ বার্তা ২৪ কমকে বলেন, আমদানি রফতানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়ত স্বাভাবিক থাকবে। ঈদের ছুটিকে ঘিরে যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতেও প্রস্তুত আমরা প্রস্তুত রয়েছি।বড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন বার্তা কমকে বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা ছুটির বিষয়ে পত্র পাঠিয়েছেন। আমদানি রফতানি বন্ধ থাকরে কার্যত বন্দর অকার্যকর হয়ে পড়ে। সরকারী ছুটির দিন ব্যাতিত সকল দিবসে বন্দরে কার্যলয় খোলা থাকবে।