রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার জৈটা বটতলা নামক গ্রামের মৃত: গোলাম মোস্তফার পুত্র হুমায়ন কবির অভিযোগ করলেন তিনি ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে আইনী হয়রানির শিকার।
তিনি জানান যে, জেলা রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার জেএল নং ৬২, এলাহিপুর মৌজার মধ্যে সি এস ০২ নং খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিক ছিলেন শ্রী যোগেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরী, তিনি সম্পত্তি দখল ভোগ করতে থাকাকালে সি এস ৪৯ দাগের ৪৮ শতক ও ৪৮ দাগের ৬৬ শতক মোট ১.১৪ শতক প্রজা পত্তনের সহরত দিলে হুমায়ন কবিরের পিতা উক্ত জমিদারের পেয়াদা হওয়ায় প্রজা পত্তনের আবেদন করলে তার আবেদন মঞ্জুর করত ২৩/১২/১৯৪৯ ইং তারিখে পত্তনি আমলনামা ও জমিদারি স্টেটের উপযুক্ত নজরানা ধর্য্যে ও সেলামী গ্রহণ করে চিরস্থায়ী পত্তন প্রদান করেন।উক্ত পত্তন মূলে জমিদারি স্টেটে সন সন খাজনাদি পরিশোধ দিয়ে দখল ভোগ করতে থাকাকালে এস এ রেকর্ড আমলে সেটেলমেন্ট অফিসার ৩৮৬ তৌজির পিয়ারার ২/৫ নং খতিয়ান প্রস্তুত করেন এবং আর এস জরিপ আমলে মৃত গোলাম মোস্তফার নামে ২৭ নং খতিয়ানের মাঠ বুঝরাত খতিয়ান সঠিক ও শুদ্ধভাবে লিপিবদ্ধ হয়।
অতঃপর গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর তার পুত্র হুমায়ন কবির ও অন্যান্য ওয়ারিশগণ ওয়ারিশান সূত্রে প্রাপ্ত হন এবং বাড়ী ঘর নির্মাণ করে শান্তিপুর্ন ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় আর এস রেকর্ড মৃত গোলাম মোস্তফার নামে না হলে তারা রেকর্ড কারেকশাণের মামলা করেন যার নং ২০৮/২৩ অ: প্র:।
হুমায়ন কবির আরো জানান যে, এই আর এস রেকর্ডকে পুঁজি করে ১। মোঃ রফিকুল ইসলাম,পিতা মৃত: হাজী কশিমুদ্দিন ২। মোসা: আমেনা খাতুন, স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাং হাতনাবাদ, পো: চৌহদ্দিটোলা, থানা গোদাগাড়ী, জেলা রাজশাহী হুমায়ন কবির এর নামে উচ্ছেদের মামলা করেন যার নং ১৮৭/২৩ অ: প্র:।
তিনি আরো বলেন উপরোক্ত ব্যক্তিগণ প্রশাসনকে নিজেদের হীন স্বার্থে ব্যবহার করে গোদাগাড়ী থানার ওসিকে ম্যানেজ করে একটি ১৮৮ ধারার মামলা করেন এবং উক্ত মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাকে কোর্টে চালান দেন।এই ফাঁকে হুমায়ন কবির এর সত্ব দখলীয় আম বাগানের প্রায় ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকার আম রফিকুল গং নামিয়ে নেয়। এই বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা তার মামলা গ্রহণ না করে উল্টো তাকেই হুমকি দেয় আরও অন্যান্য মামলায় ফাঁসানোর জন্য।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে ওসি গোদাগাড়ী এবং রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অতঃপর ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।