ছাত্র জীবন থেকে নানা বাড়িতে থাকেন আশ্রিত। পরবর্তী সময়ে প্রেম করে বাবার অমতে করেন বিয়ে। এর পর শুরু হয় পারিবারিক দন্দ। আর এ দন্দকে কেন্দ্র করে গত ১০/০৭/২০২২ইং তারিখে  তিন লক্ষ টাকা ঋনের দায়ে তার বাবা বাড়ি থেকে বের করে দেন। শূন্য হাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া দিশাহারা ওই যুবক থাকতে শুরু করেন তার শশুর বাড়িতে। কিছুদিন সেখানে থাকার পর সেখানেও মেলেনা ঠাই । এরপর তিনি তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি জমান রাজশাহী শহরের শালবাগান এলাকায়। সেখানেও তিনি বেশিদিন থাকতে পারেননি। মাত্র তিন মাস পর চলেযান পাবনার ঈশ্বরদীতে। সেখানে গিয়ে ওই যুবক রোলিং মিলের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি নেন, তার স্ত্রী চুল তৈরির চায়না কারখানাতে চাকরি নেন। এভাবেই চলতে থাকে তার সংসার। মাত্র সাত মাস পরে তাদের আর চাকরি করা সম্ভব হয়নি। এই দম্পতি আবার চলে আসেন রাজশাহীতে। বর্তমানে সেখানেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন তারা। তবে এই অল্প সময়ের কর্ম জীবনে এই দম্পতি হয়েগেছে আঙুল ফুলে কলাগাছ। তার জীবনের এই রহস্য জনক গল্পের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল রহস্যময় থলের বেড়াল। তিনি মাত্র দুই বছরের ব্যাবধানে ১৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ক্রয় করেছেন জমি, ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন বাইক। ব্যাবহার করছেন লক্ষ টাকা দামের মুঠোফোন। এছাড়াও রয়েছে তার স্ত্রীর স্বর্ণের গহনা। শূন্য হাতে বাড়ি ছাড়া একজন সিকিউরিটি গার্ডের হঠাৎ এতো টাকার মালিক বনে যান কি ভা বে?  কিই বা তার আয়ের উৎস? অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ সকল তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা যায়,ওই যুবকের নাম নয়ন,সে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কিশোরপুর বিলপাড়া এলাকার মঙ্গল @ মুংলার ছেলে। তার শশুর একজন কাঠ ব্যাবসায়ী। ব্যাবসার জন্য তিন লক্ষ টাকা দিয়েছে নয়ন। এছাড়াও তার নানার বাড়ির এলাকা তেথুলিয়া কামারপাড়া মোড় সংলগ্ন উত্তরে বাঘা-আড়ানীর প্রধান সড়কের পূর্ব পার্শ্বে পৃথক দুইজন মালিকের কাছ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ১২ শতক জমি ক্রয় করেন। এছাড়াও তার স্ত্রীর রয়েছে ২ ভরি সর্ণালংকার।

স্থানীয় গোপন সুত্রে জানা যায়, এই অল্প সময়ে একমাত্র অবৈধ আয়ে হয়েছেন জমি, গাড়ি ও অর্থের মালিক। আর এই আয়ের মূল উৎস হিসেবে রয়েছে ডিজিটাল চুরি বা হ্যাকীং কার্যক্রম। দ্রুত তাকে আইনের আওতায় নিতে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

হঠাৎ ফুলে ফেঁপে শূন্য থেকে অর্ধ কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার পেছনে কি গল্প রয়েছে, কিইবা তার আয়ের উৎস, জানতে নয়নের মুঠোফোনে বারংবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।