সারাদেশে বানিজ্যিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে ২০০৬ সালে বানিজ্যিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিঃ। যা ডেসটিনি গ্রুপের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
❝প্রতিষ্ঠানটি প্রথম বছর থেকেই ব্যাপক হারে বনায়ন কার্যক্রম চালু করে।❞
ধারাবাহিক ভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবন, পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, খুলনা সহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জমি ক্রয়/লিজ নিয়ে যৌথ অংশীদারী ভিত্তিতে বনায়ন কার্যক্রম এগিয়ে চলছিল।
ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর নিজস্ব ক্রেতা-পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক উৎসাহ এবং ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মযজ্ঞ বেশ দ্রুততার সাথে এগোতে থাকে।
শুধুমাত্র আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া নয় বরং পাশাপাশি সবুজায়নের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ রক্ষার চেতনাবোধ থেকে বিনিয়োগকারীরা বনায়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা শুরু করে।
প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক ভাবেও বৃক্ষরোপনের গুরুত্ব ও সচেতনতা সৃষ্টিতে সফল হয়েছে।
২০১২ সালের মধ্যে অন্তত ১ কোটি বৃক্ষরোপনের প্রাথমিক লক্ষমাত্রা নিয়ে এগোতে থাকা প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সাল নাগাদ প্রায় ৬০ লক্ষ বৃক্ষ রোপনে সফল হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই
২০১২ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে কতিপয় লোভী-সার্থান্বেষী মহলের কু-নজর এবং হলুদ সাংবাদিকতার খড়গে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। বন্ধ হয়ে যায় বনায়ন কার্যক্রম।
তবে এটুকু নির্দ্বিধায় বলতেই হয় এই বানিজ্যিক বনায়ন চলমান থাকলে আজ সম্ভবতঃ আমাদের ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার সতর্ক বার্তা শুনতে হত না, আর এমন অসহনীয় তীব্র দাবদাহের কবলেও পড়তে হতো না।
আরেকটি কথা, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিঃ কত স্বচ্ছতার সহিত কাজ করেছে দেখুন-
❝যারা ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিঃ -এ বিনিয়োগ করার পর বিনিয়োগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছিল তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ লাভ সহ ফেরতের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যথাসময়ে বিনিয়োগকৃত অর্থ মেয়াদ পূর্তিতে লাভ সহ তুলে নিন।❞
তাই একথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, ডেসটিনির কার্যক্রম আজ অব্দি চালু থাকলে হয়তো ইতিমধ্যে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিঃ এর তত্ত্বাবধানে সারাদেশে ১০ কোটিরও অধিক বৃক্ষরোপন সম্পন্ন হইত।
–আলতাফ হোসেন শামীম
লেখক ও সাংবাদিক