1. www.rohimali2019@gmail.com : Abdur Rohim : Abdur Rohim
  2. alauddinmondol45@gmail.com : Alauddin Mondol : Alauddin Mondol
  3. dainiksonarbangla24@gmail.com : Hafiz Rahman : Hafizur Rahman
  4. msalimreza4u@gmail.com : Salim Reza : Salim Reza
  5. admin@sonarbangla24.com : sayem :
  6. allbanglanewspaperlive@gmail.com : Shipon Ahmed : Shipon Ahmed
রাজশাহীতে আল-আমিন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায়  কিশোরীর মৃত্যু  - সোনার বাংলা ২৪
৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| রবিবার| রাত ১১:৩৭|

রাজশাহীতে আল-আমিন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায়  কিশোরীর মৃত্যু 

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪

রাজশাহীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গলার টিউমার অপারেশন করাতে গিয়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটির নাম আল-আমিন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বেসরকারি এই হাসপাতালটি রাজশাহী নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে অবস্থিত।

মারা যাওয়া কিশোরীর নাম মোহনা খাতুন (১৭)। তিনি বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের নটিকা গ্রামের মহিরুল ইসলামের মেয়ে। এর আগে গলার টিউমার অপারেশন করার জন্য বুধবার সকালে আল-আমিন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

মোহনার স্বজনরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে আল-আমিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে তার গলার টিউমারের অপারেশন করা হয়। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে রাতে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান।

রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কিশোরী মোহনাকে রাত ১১টার দিকে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মারা যায়।একটি সূত্র বলছে, কিশোরী মারা যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতাল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে। এজন্য কিশোরী মোহনার পরিবারকে ‘ম্যানেজ’ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এজন্য পরিবার অভিযোগ না করে চেপে গেছে। হাসপাতাল থেকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি ও মারা যাওয়ার পর মরদেহ তাদের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্রটির দাবি, টিউমার অপারেশন করা গিয়ে শ্বাসনালী কেটে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে কিশোরী মোহনা মারা গেছে।মোহনার মামা মনিরুল ইসলাম জানান, ভাগ্নির টিউমার অপারেশন করার জন্য আল-আমিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশন শেষ হলে ডাক্তার পোস্ট অপারেটিভ রুমে রাখে। সেখানে তার হার্টবিট কমতে থাকে। একই সাথে শ্বাস প্রশাসও কমতে শুরু করে। সেখানকার ডাক্তাদের জানালে তারা রামেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

তবে মারা যাওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ করবেন না বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমার ভাগ্নি স্বাভাবিক ভাবে মারা গেছে বলে মনে হয়েছে। মৃত্যু আছে বলেই সে চলে গেছে। এ নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। তার মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে।মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের সাথে ‘দফরফা’ হয়েছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের সাথে কোনো কিছুই হয়নি।’ কোন ডাক্তারের তত্বাবধানে অপারেশন করা হয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।আল-আমিন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছে না। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি না তারা।

হাসপাতালটিতে দেখা গেছে, শয্যা আছে এসি ও ননএসিসহ ২০টি। সাতজন ডাক্তার সেখানে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। আগে এই হাসপাতালের যায়গায় একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে এখন এই হাসপাতাল করা হয়েছে।রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, এক কিশোরী মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। ভুল চিকিৎসায় কি না তা জানি না। থানায় কেউ এবিষয়ে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।রাজশাহী সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ভুল চিকিৎসা হলে অবশ্যই সে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি দেখবো। এনিয়ে তদন্ত করা হবে।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

বৈশাখী অফার

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

রবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১ 

অভিনন্দন বার্তা

[এই সাইটের যাবতীয় কন্টেন্ট অনুমতিবিহীন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ]

Copyright © 2024, Sonar Bangla 24