সোনার বাংলা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে চেন্নাইয়ের মাঠে গিয়ে গিয়ে হারতে হয়েছিল গুজরাট টাইট্যান্সকে। তবে তৃতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে ফিরতেই আবারও জয়ে ফিরল শুভমান গিলের দল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সহজেই ৭ উইকেটে হারাল গুজরাট।
রোববার (৩১ মার্চ’) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। শুরুটা ভাল করেছিলেন দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও ট্রেভিস হেড। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান করছিলেন তারা।
হায়দরাবাদকে প্রথম ধাক্কা দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ১৬ রানের মাথায় মায়াঙ্ককে আউট করেন তিনি। অভিষেক শর্মা এই ম্যাচেও শুরু থেকে বড় শট খেলছিলেন। পাওয়ার প্লে-র পরে প্রথম ওভারেই হেডকে আউট করে নুর আহমেদ। ১৯ রান করেন হেড।
অভিষেককে ২৯ রানে আউট করে হায়দরাবাদকে বড় ধাক্কা দেন মোহিত শর্মা। মাঝের ওভারে ভালো বল করে গুজরাট। এইডেন মার্করামকে আউট করেন উমেশ যাদব। হেনরিখ ক্লাসেন ভালো খেলছিলেন। ২৪ রানের মাথায় তাকে আউট করেন রশিদ খান।
শাহবাজ আহমেদ ও আব্দুল সামাদ হায়দরাবাদের রান ১৫০ পার করান। শাহবাজ ২২ ও সামাদ ২৯ রান করেন। ওয়াশিংটন সুন্দর শূন্য রানে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে হায়দরাবাদ।
গুজরাটের বোলারদের মধ্যে সব থেকে সফল মোহিত। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। ওমরজাই, উমেশ, রশিদ ও নুর ১টি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বড় শট খেলা শুরু করেন ঋদ্ধিমান সাহা। হায়দরাবাদের বোলারদের থিতু হওয়ার সময় দেননি তিনি। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে রান করছিলেন ঋদ্ধি। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি তিনি।
২৫ রান করে শাহবাজের বলে আউট হন ঋদ্ধিমান। অধিনায়ক শুভমান করেন ৩৬ রান। কিন্তু পুরনো মেজাজে দেখা যায়নি তাকে। মায়াঙ্ক মারকান্ডের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন গুজরাটের অধিনায়ক।’
দলকে জয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন সাই সুদর্শন ও ডেভিড মিলার। চলতি মৌসুমে গুজরাটের সব থেকে ধারাবাহিক ব্যাটার সুদর্শন। মিলারকেও এই ম্যাচে সাবলীল দেখাল। কোনও ঝুঁকি নিলেন না তারা। খারাপ বলে মারলেন। ভালো বলে দৌড়ে রান নিলেন।
৪৫ রান করে সুদর্শন আউট হলেও মিলার শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন। মাঝের ওভারে উইকেট তুলতে না পারার খেসারত দিতে হল হায়দরাবাদকে। শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট। মিলার ৪৪ ও বিজয় শঙ্কর ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।’