1. www.rohimali2019@gmail.com : Abdur Rohim : Abdur Rohim
  2. alauddinmondol45@gmail.com : Alauddin Mondol : Alauddin Mondol
  3. dainiksonarbangla24@gmail.com : Hafiz Rahman : Hafizur Rahman
  4. msalimreza4u@gmail.com : Salim Reza : Salim Reza
  5. admin@sonarbangla24.com : sayem :
  6. allbanglanewspaperlive@gmail.com : Shipon Ahmed : Shipon Ahmed
'তাহলে কী স্বেচ্ছা অবসরে তারা' - সোনার বাংলা ২৪
৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| সোমবার| রাত ২:৩৩|

‘তাহলে কী স্বেচ্ছা অবসরে তারা’

সংবাদদাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাদশ সংসদে থাকা অন্তত ৭১ জন সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না পেয়ে তারা যেমন হতাশ হয়েছেন, তেমনি কারও কারও রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি দেখছেন অনেকে। এই সমস্ত নেতাদের মধ্যে কয়েকজন বেশ আলোচিত ছিলেন, প্রচণ্ড ক্ষমতাবানও ছিলেন। তারা এবার মনোনয়ন না পেয়ে রাজনীতির অঙ্গন থেকেই চির বিদায় দিচ্ছেন বা স্বেচ্ছাবসর গ্রহণ করছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের এখন কোনও কর্মকাণ্ড নেই। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের কোন বিচরণও নেই। এমনকি দলীয় কোন কর্মসূচিতেও তাদের উপস্থিতি খুব একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাহলে কী এই সমস্ত সাবেক মন্ত্রী এবং এমপিদের রাজনৈতিক অধ্যায় শেষ হয়ে গেল?

এ রকম কয়েক জন যাদেরকে নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন,

ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সময় ছিলেন সরকারের প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তিনি ফরিদপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৮ তে দুবার তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হওয়ার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। তিনি দেশেও অবস্থান করছেন না। তিনি এখন সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। ফরিদপুরে রাজনীতিতে একসময় দুর্দান্ত প্রভাবশালী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এখন অপাংক্তেয় পরিত্যক্ত। রাজনৈতিক অঙ্গনেও তার কেউ খোঁজ নেয় না। তার অনুগত বিভিন্ন সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং এই সমস্ত মামলাগুলোতে অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছে।

মহিউদ্দিন খান আলমগীর: মহিউদ্দিন খান আলমগীর আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারক ছিলেন। অনেকেই মনে করেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার পিছনে মহিউদ্দীন খান আলমগীরের একটা বড় ভূমিকা ছিল। সেই সময় জনতার মঞ্চে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা পালন করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালে তিনি মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। সেই মহিউদ্দীন খান আলমগীরকে এবার চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তার জায়গায় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ মনোনয়ন পেয়েছেন এবং বিজয়ী হয়েছেন।

মহিউদ্দীন খান আলমগীরকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নানা রকম বিতর্ক হচ্ছে। ফারমার্স ব্যাংক যেটি পরবর্তীতে পদ্মা ব্যাংক হয়েছে এবং সম্প্রতি এক্সিম ব্যাংকে একীভূত হবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, সেই ব্যাংকের কেলেঙ্কারিতে মহিউদ্দিন খান আলমগীরের নাম জড়িয়ে আছে। তিনি বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নানা বিতর্কের কারণ বলেই অনেকে মনে করেন। তবে এবার মনোনয়ন না পাওয়ার পর মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে আর দৃশ্যপটে দেখা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি এখন একাকীত্ব বরণ করছেন। অনেকে মনে করছেন যে, তা রাজনৈতিক অধ্যায় সমাপ্ত।

আবুল কালাম আজাদ: জামালপুর-১ আসন থেকে নিয়মিতভাবে নির্বাচন করতেন আবুল কালাম আজাদ। ২০০৯ নয় সালে তিনি দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তথ্য ও সংস্কৃতি। কিন্তু এবার ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তার বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল নূর মোহাম্মদকে এবং তিনি সেখানে বিজয়ী হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের এক সময়ের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা এখন বার্ধক্যজনিত কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বলে অনেকেই মনে করেন।’

জাকির হোসেন: আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত মেয়াদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে তিনি এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হন। তার জায়গায় বিপ্লব হাসানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল ওই নির্বাচনে। মনোনয়ন না পাওয়ার পর জাকির হোসেনকে আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখানো দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন বাড়ি বিতর্ক, ঘুষ কেলেঙ্কারি ইত্যাদি নানা বিতর্কে থাকার পর এখন নিজেই রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।

কে এম খালিদ: ময়মনসিংহ-৫ আসন থেকে ২০১৮ নির্বাচনে জয় পাওয়া কে এম খালিদ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি। কে এম খালিদ মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে এখন সরকারে নেই। এমনকি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তাকে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

এ রকম বেশ কিছু সাবেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা এখন আস্তে আস্তে রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তারা স্বেচ্ছাবসরে যাচ্ছেন নাকি তারা পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়েছেন সেটিই এখন একটি বড় প্রশ্ন।’

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

বৈশাখী অফার

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

রবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১ 

অভিনন্দন বার্তা

[এই সাইটের যাবতীয় কন্টেন্ট অনুমতিবিহীন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ]

Copyright © 2024, Sonar Bangla 24