লেখক- ডা. মো খলিলুর রহমান
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩ এর আলোকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল গঠন প্রক্রিয়াধীন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়, কাউন্সিল ও অধীনস্থ জবাবদিহিতামূলক নির্বাহী পরিষদ গঠন প্রক্রিয়ায় অগ্রসরমান চলমান তৎপর রয়েছেন। কাউন্সিল হল সংবিধিবদ্ধ বা বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান যা আইনিভাবে নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্যে স্বতন্ত্র হিসেবেই স্বীকৃত কাজের বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত সরকারের একটি সংবিধিবদ্ধ জবাবদিহিতামূলক সার্বজনীন সরকারি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান। ইহা স্ব-শাসিত সংস্থা, তহবিল, ইহার নিজস্ব আইন, আইনের মর্যাদা সম্পন্ন দলিল ও বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত হইয়া থাকে।কাউন্সিল কোন প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশাসনিক শীর্ষ সংস্থা।
❝৪১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট গভর্নিং বডি ও ২৪ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ গঠন পক্রিয়াধীন রয়েছে।❞
এ লক্ষ্যে একটি নিরপেক্ষ সুদক্ষ চৌকস সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য সদস্যদের মনোনয়ন জরুরি।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে মানসম্মত পর্যায়ে উন্নীত করতে প্রক্রিয়াধীন কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদ গঠনে যে বিষয়গুলিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক।
১. হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক যুগোপযোগী পর্যায়ে উন্নীত করতে হলে ব্লেন্ডেড কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদ, পেশাদার প্রকৃত হোমিওপ্যাথ ও সরকারকে উচ্চ পদস্থ হোমিও অনুরাগী কর্মকর্তাদের বা সচিবদের সমন্বয়ে গঠনের বিকল্প নাই।
২. আগামী দিনে হোমিওপ্যাথির টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদকে আমূল পরিবর্তনে অবশ্যই ঢেলে সাজানো সময়ের শ্রেষ্ঠ দাবী।
৩. কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদ এবং তাদের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহকে অবশ্যই সব সময় সুস্পষ্ট সুনির্ধারিত বিধি,প্রবিধি ও নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত করা।
৪. ইহার অধীন বিধিমালা, প্রবিধিমালা প্রণয়ন সহ কতিপয় সুস্পষ্ট সুনির্দিষ্ট নীতিমালা যেমন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ বা সুশাসিত ম্যানেজিং কমিটি নীতিমালা,হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা নীতিমালা, নিয়োগ বিধিমালা, উচ্চ শিক্ষা নীতিমালা, গবেষণা নীতিমালা ইত্যাদি প্রণয়ন চ্যালেঞ্জ ও সময় সাপেক্ষ।
৫. হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের উদ্দ্যেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমকে সঠিক তদারকির ব্যবস্থা করা অত্যাবশ্যক জরুরি।
৬. কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, গভর্নিং বডির সদস্যদের মধ্য হইতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অধীনে মনোনীত হবেন। সে ক্ষেত্রে বর্তমান এমপি জনাব আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর-৫, সাবেক মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সাবেক অতিরিক্ত সচিব থাকাকালীন সাবেক চেয়ারম্যান (১৭/০২/২০০৮-২৮/০৫/২০০৯) বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড অত্যন্ত সুনাম, নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মাননীয় সাংসদ হোমিও অনুরাগী কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার নাম বিবেচনায় রাখা অথবা বিশিষ্ট খ্যাতি সম্পন্ন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে উক্ত পদে নিযুক্ত করতে পারেন।
৭. সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজনৈতিক বিবেচনায় নয় এমন হোমিওপ্যাথিক সুশীল সমাজ ভিত্তিক কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদ গঠনে ভূমিকা রাখা।
৮. হোমিও অনুরাগী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা সচিব, জনাব ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক জনাব ডা. ফজলুল হক বা বর্তমান সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপ-সচিবদের বা অজানা কেউ থাকলে, মধ্য হইতে নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্তিতে বিবেচনায় রাখা।
৯. কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদে যথাক্রমে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যে সমস্ত অধ্যক্ষ, সহাকারি অধ্যাপক, শিক্ষক, হোমিওপ্যাথি গবেষক, হোমিওপ্যাথি নিবন্ধিত দুইজন মহিলা প্রতিনিধি, প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগ হইতে মনোনীত চিকিৎসক প্রতিনিধি, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের মনোনয়নের সুযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের পছন্দ বা মনোনয়নের ক্ষেত্রে যথাযথ চুল-চেরা বিশ্লেষণ পূর্বক রাজনৈতিক বিবেচনার উর্ধে তাদের নিযুক্ত করা।
১০. প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ হইতে নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন ও উহার প্রক্রিয়া কি হবে তা স্পষ্ট নয়? এতদ বিষয়ে স্পষ্ট দিক নির্দেশনা জরুরি। বিগত দিনে নির্বাচন বিধিমালা-১৯৮৭ বিতর্কিত, কখনই শিক্ষকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নেতা নির্বাচিত হয়নি। বার বার একই ব্যক্তি শিক্ষক ও চিকিৎসক নেতা হিসাবে মনোনিত হয়েছেন।
১১. সর্বোপরি, সুশীল সমাজে স্বনামধন্য বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এমবিবিএস ডিগ্রীধারী ডা. শেখ ফারুক এলাহী অন্যতম তাকেও সরকার প্রয়োজনে কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগে বিবেচনায় রাখা পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রী কোর্স বাস্তবায়নের অন্যতম নেতা ও অবসর প্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম ভুঁইয়াকে কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়োগে বিবেচনায় রাখা।
১২. প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়, কাউন্সিলের গভর্নিং বডি ও নির্বাহী পরিষদের কিছু পদের (হোমিওপ্যাথদের) মনোনয়নে জনপ্রিয় দুই-একটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সরকার প্রতিথযশা দক্ষ, অভিজ্ঞ সুশীল সমাজে অতি পরিচিত হোমিও অনুরাগী ও হোমিওপ্যাথদের সমন্বয়ে একটি কর্মশালা আহ্বানের মাধ্যমে মনোনীতদের নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা।
১৩. স্বাধীনতার পর ০৯/০৩/১৯৭২ সাল থেকে ০৮/০৭/২০০৯ পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশের অধিক সময়ই সাবেক হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান বা প্রশাসক বা প্রেসিডেন্ট হিসাবে বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, অধ্যাপক, পরিচালক, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপ-সচিব ও অবসর প্রাপ্ত সচিবগণও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সুতরাং হোমিওপ্যাথির অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিবেচনায় রাখা।
স্বাধীনতার পর ৬ জন বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত ও একজন বোর্ড সদস্য দায়িত্ব প্রাপ্ত হন এবং তাদের মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসকও ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সদ্য বিলুপ্ত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় সাময়িকভাবে রুটিন কার্যক্রম সম্পাদনের কার্যক্রম পালন করছেন।
❝অপরদিকে, ১০ জন যুগ্ম সচিব, ৮ জন অতিরিক্ত সচিব ও ১ জন পূর্ণ সচিবও বিভিন্ন সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবও ছিলেন।❞
পক্ষান্তরে অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সাথে বোর্ড চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্যসচিব হয়েছেন এবং বর্তমানে জামালপুর সদর আসনের একজন মাননীয় সাংসদ, আইনপ্রণেতা, আইনজীবী ও আইনবিশারদও তিনি। হোমিও অনুরাগী হিসাবে মাননীয় সাংসদকে কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগে বিবেচনায় রাখা। নিপসমের অধ্যাপক, পরিচালক এমবিবিএস ডিগ্রীধারী হোমিওপ্যাথ, উপসচিব ও মহাপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর যথাক্রমে বোর্ডের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি দেখা যায়, ৬৫.০০% ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রনে ও অধিকতর নিরাপদে দুর্নীতিমুক্ত ও কলুষমুক্ত ছিল।
বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মূলধারার চিকিৎসা-শিক্ষার পাশাপাশি সমন্বিত বিকল্প হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-শিক্ষার আধুনিকায়ন অত্যাবশ্যক। সার্বজনীন শক্তিশালী একটি হোমিওপ্যাথিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নীতিমালা, চিকিৎসা নীতিমালা, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্রান্সফার নীতিমাল প্রয়োজন ছিল যা আদৌ নেই।
❝বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ছিল। যা ১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ ও ১৯৮৫ সালের প্রবিধি দ্বারা পরিচালিত হত।❞
উল্লেখিত অধ্যাদেশ ও বিধিমালাতে সুস্পষ্ট বিস্তারিত ধারাবাহিক বিধিবদ্ধতা ছিল না। যেমন, কলেজ ম্যানেজিং কমিটিতে অধ্যক্ষের বা ম্যানেজিং কমিটির একক আঞ্চলিক আধিপত্য নিশ্চিত কমিয়ে জবাবদিহিতামূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত কোন নিয়োগবিধিমালা ছিল না।
এমনকি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রমোশন বা পদোন্নতির ক্ষেত্রে সুনির্ধারিত নীতিমালা ছিল না। কাউন্সিলের কেন্দ্র থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রতিটি স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সহ আইন, বিধি, প্রবিধি ও নীতিমালার বাইরে মনগড়া কিছুই বাস্তবায়ন করার সুযোগ নাই। বোর্ড ও ইহার অধ্যাদেশ ও প্রবিধিমালা ছিল অপূর্ণাঙ্গ, অস্পষ্ট।
পক্ষান্তরে কাউন্সিল একটি পরিপূর্ণ পরিপক্ক আইনসভা সংস্থা হিসাবে নির্বাচিত বা নিযুক্ত একটি দল, যাতে আইনের বাইরে কিছুই করার সুযোগ নেই। মূলত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা বা ডিসিপ্লিন আনতে আইন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আদালতের রায়ে,
❝হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবেন না মর্মে অনেক হয়রানী, গ্রেফতার, জেল-জরিমানা ইত্যাদি হয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ও কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে এতদসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে।❞
১. ডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজগুলো নামে আছে কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা নাই বললেই চলে, বাস্তবে হাসপাতালে প্রায়োগিক অর্থে আউটডোরে যৎ সামান্য সার্ভিস ব্যতীত কিছু নাই।
২. কেন্দ্র থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে চেইন অফ কমান্ডের অভাব।
৩. ডিগ্রী-ডিপ্লোমার বিভাজন; ডিপ্লোমা ও গ্র্যাজুয়েট লেভেলের হোমিওপ্যাথিক পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পেশার মান মর্যাদা রক্ষায় ও পেশাদারিত্বমূলক জবাবদিহিতা ও সমন্বয়ের অভাব।
৪. জাতীয় হোমিওপ্যাথিক গবেষণা কাউন্সিল নাই।
৫. শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা নাই-বয়স, বিভাগ ভিত্তিক ও নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নগন্য।
৬. সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অপ্রতুল সহ অপর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ।
৭. হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমের প্রতিনিয়ত রিভিউ সিলেবাস ও টেক্সট বই নাই।
৮. হোমিওপ্যাথিক একাডেমিক শিক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা নাই।
৯. সদ্য বিলুপ্ত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড পরিচালনা পরিষদ কঠোর নিয়ন্ত্রণে একই ব্যক্তিদেরকে শিক্ষক প্রতিনিধি বোর্ড সদস্য ও চিকিৎসক নেতা হিসাবে মনোনীত করা।
১. কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদ গঠনে, মনোয়নে, সরকারের ভূমিকাই মুখ্য। গ্রহণযোগ্য সার্বজনীনতায় রাজনৈতিক বিবেচনার উর্ধে পক্ষপাতিত্বহীনভাবে স্বনামধন্য যোগ্যদের যোগ্য জায়গায় বসাতে হবে।
❝স্বাধীনতার পর থেকে ০৯/০৩/১৯৭২ থেকে ০৮/০৭/২০০৯ পর্যন্ত বোর্ড চেয়ারম্যান সহ পরিচালনা পর্ষদের অতীত কার্যক্রমের ও গত ০৯/০৭/২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩ ও কাউন্সিল কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত ধারাবাহিক তুলনামূলক চিত্রের বিশ্লেষণ।❞
২. কাউন্সিলের অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধি, নীতিমালার প্রয়োগ ত্বরিৎ বাস্তবায়ন।
৩. হোমিওপ্যাথিক একাডেমিক শিক্ষা পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়ন।
৪. রাজনৈতিক বিবেচনার উর্ধে কাউন্সিল ও নির্বাহী পরিষদ গঠন প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে সুশাসন ও নিরপেক্ষতায় সুশীল সমাজভিত্তিক প্রাধান্য বজায় রাখা।
৫. সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা শক্তিশালীকরণ ও বাজেট বৃদ্ধি।
৬. বিএমআরস’র ন্যায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল গবেষণা কাউন্সিল (বিএইচএমআরসি) প্রতিষ্ঠা করা।
৭. হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা কারিকুলামের প্রতিনিয়ত রিভিশন সহ সিলেবাস ভিত্তিক টেক্সটবুক প্রণয়ন।
৮. শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা প্রণয়ন।
৯. মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই।
১০. কাউন্সিল-নির্বাহী পরিষদ-কেন্দ্রবিন্দু থেকে প্রান্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষমতার অপব্যবহার, অসাধুতা, অপরাজনীতি, অপকৌশল, হয়রানী বন্ধ করত সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
১১. শিক্ষক-চিকিৎসকদের কোটা ভিত্তিক মনোনয়নের ব্যবস্থা করা।
লেখক পরিচিতি-
[ডা. মো খলিলুর রহমান, বিএইচএমএস (ঢাবি)
সহকারি অধ্যাপক,
জামালপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল
অনারারী, লেকচারার সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মিরপুর- ১৪, ঢাকা- ১২০৬
রিসার্চ ফেলোশীপ:
এস এস আর সি, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়, ঢাকা
রিসার্চ ফেলোশীপ:
মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র, বাউবি
এম ফিল
গবেষক: সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ই-মেইল: drkrmph@gmail.com
মোবাইল: +৮৮০১৭১৬৩৬২১৭৮]